The Gospel of Sri Ramakrishna
EnglishBengaliHindi
Bengali
Bengali
  • শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত
  • ১ উপক্রমণিকা
    • ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সংক্ষিপ্ত চরিতামৃত
  • ২ দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - কালীবাড়ী ও উদ্যান
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - প্রথম দর্শন
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - দ্বিতীয় দর্শন
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - মাস্টারকে তিরস্কার ও তাঁহার অহঙ্কার চূর্ণকরণ
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - ভক্তির উপায়
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - তৃতীয় দর্শন
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - উপায় — বিশ্বাস
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - সমাধিমন্দিরে
    • নবম পরিচ্ছেদ - চতুর্থ দর্শন
    • দশম পরিচ্ছেদ - অন্তরঙ্গ সঙ্গে — ‘আমি কে’?
  • ৩ শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণের বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে প্রেমানন্দে নৃত্য
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ শ্যামপুকুরে — প্রাণকৃষ্ণের বাটীতে
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - কমলকুটিরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীযুক্ত কেশব সেন
  • ৪ কলিকাতায় শ্রীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের মিলন
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - বিদ্যাসাগরের বাটী
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - বিদ্যাসাগর
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — জ্ঞানযোগ বা বেদান্ত বিচার
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - জ্ঞান ও বিজ্ঞান, অদ্বৈতবাদ, বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদ — এই তিনের সমন্বয়
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - ভক্তিযোগের রহস্য
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - ঈশ্বরকে ভালবাসা জীবনের উদ্দেশ্য
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর অহেতুক কৃপাসিন্ধু
  • ৫ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে কেদারের উৎসব
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - কামিনী-কাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত — সাধনা ও যোগতত্ত্ব
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - গুরুশিষ্য-সংবাদ — গুহ্যকথা
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - পূর্বকথা — শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা — ১৮৫৮
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে — নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ ৺বিজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর — সকলই পন্থা — শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে বলরামাদি সঙ্গে — বলরামকে শিক্ষা
  • ৬ শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — ‘সমাধিমন্দিরে’
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - সমাধিমন্দিরে — আত্মা অবিনশ্বর — পওহারী বাবা
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও কর্মযোগের সমন্বয়
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - বেদ ও তন্ত্রের সমন্বয় — আদ্যাশক্তির ঐশ্বর্য
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - এ সংসার কেন?
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - ব্রাহ্মদিগকে উপদেশ — খ্রীষ্টধর্ম, ব্রাহ্মসমাজ ও পাপবাদ
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - শ্রীযুক্ত কেশব সেনের সহিত নৌকাবিহার — সর্বভূতহিতে রতাঃ
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - কেশবকে শিক্ষা — গুরুগিরি ও ব্রাহ্মসমাজে — গুরু এক সচ্চিদানন্দ
    • নবম পরিচ্ছেদ - কেশবাদি ব্রাহ্মদিগকে কর্মযোগ সম্বন্ধে উপদেশ
    • দশম পরিচ্ছেদ - সুরেন্দ্রের বাড়ি নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
  • ৭ সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - উৎসবমন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - ভক্ত-সম্ভাষণে
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - তিন প্রকার আচার্য
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - ঈশ্বরদর্শন — সাকার না নিরাকার?
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - ঈশ্বরলাভের লক্ষণ — সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - ব্রাহ্মসমাজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণনা
  • ৮ সার্কাস রঙ্গালয়ে -- গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে প্রাণকৃষ্ণ, মাস্টার প্রভৃতি সঙ্গে
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - ভাবরাজ্য ও রূপদর্শন
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের যশোদার ভাব ও সমাধি
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রীরাধার ভাব
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - অভ্যাসযোগ — দুই পথ — বিচার ও ভক্তি
  • ১১ বেলঘরে গ্রামে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গ
  • ১২ শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে রাখাল, রাম, নিত্যগোপাল, চৌধুরী প্রভৃতি ভক্ত
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে অমাবস্যায় ভক্তসঙ্গে — রাখালের প্রতি গোপালভাব
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসব
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - জন্মোৎসবে ভক্তসঙ্গে — সন্ন্যাসীদের কঠিন নিয়ম
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - সাকার-নিরাকার — ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রামনামে সমাধি
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - কীর্তনানন্দে ও সমাধিমন্দিরে
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - গোস্বামী সঙ্গে সর্বধর্ম-সমন্বয়প্রসঙ্গে
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, নিত্যসিদ্ধ ও কৌমার বৈরাগ্য
    • নবম পরিচ্ছেদ - পঞ্চবটীমূলে কীর্তনানন্দে
    • দশম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গৃহস্থধর্ম
    • একাদশ পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত অমৃত, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তের স
    • দ্বাদশ পরিচ্ছেদ - গেরুয়াবসন ও সন্ন্যাসী — অভিনয়েও মিথ্যা ভাল নয়
    • ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ - নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে বলরাম-মন্দিরে
    • চতুর্দশ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — মণিলাল ও কাশীদর্শন
    • পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ - গৃহস্থ ও কর্মযোগ
    • ষোড়শ পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ — প্রেমতত্ত্ব
    • সপ্তদশ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি
    • অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণের ঈশ্বরাবেশ, তাঁহার মুখে ঈশ্বরের বাণী
    • ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ - অধরের প্রতি উপদেশ — সম্মুখে কাল
    • ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ - শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা উপলক্ষে ভক্তসঙ্গে সুরেন্দ্রভবনে
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে — সমাধিমন্দিরে
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও সাকার-নিরাকার
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ হরিকীর্তনানন্দে — হরিভক্তি-প্রদায়িনী সভায় ও রামচন্দ্রের বাটীতে শ্রীরাম
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
    • নবম পরিচ্ছেদ - কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ
    • দশম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে — শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র দত্তের বাড়ি কীর্তনানন্দ
  • ১৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে ফলহারিণী — পূজাদিবসে ভক্তসঙ্গে
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - পূর্বকথা — শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমোন্মাদ ও রূপদর্শন
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে — ঠাকুর “অহেতুক কৃপাসিন্ধু”
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ ও নিরাকারবাদ
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - হাজরার সঙ্গে কথা — গুরুশিষ্য-সংবাদ
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — শ্রীযুক্ত রাখাল, রাম, কেদার, তারকমাস্টার
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে মণিরামপুর ও বেলঘরের ভক্তসঙ্গে
Powered by GitBook
On this page

Was this helpful?

  1. ১২ শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ - গেরুয়াবসন ও সন্ন্যাসী — অভিনয়েও মিথ্যা ভাল নয়

১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌ ৷ ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ৷৷

[গীতা, ৩।৬]

গেরুয়াবসন ও সন্ন্যাসী — অভিনয়েও মিথ্যা ভাল নয়

পরমহংসদেবের সমাধী ক্রমে ভঙ্গ হইতে লাগিল। ভাবস্থ হইয়াই কথা কহিতেছেন। আপনা-আপনি বলিতেছেন —

শ্রীরামকৃষ্ণ (গেরুয়াদৃষ্টে) — আবার গেরুয়া কেন? একটা কি পরলেই হল? (হাস্য) একজন বলেছিল, “চন্ডী ছেড়ে হলুম ঢাকী।” — আগে চণ্ডির গান গাইত, এখন ঢাক বাজায়! (সকলের হাস্য)

“বৈরাগ্য তিন-চার প্রকার। সংসারের জ্বালায় জ্বলে গেরুয়াবসন পরেছে — সে বৈরাগ্য বেশিদিন থাকে না। হয়তো কর্ম নাই, গেরুয়া পরে কাশী চলে গেল। তিনমাস পরে ঘরে পত্র এল, ‘আমার একটি কর্ম হইয়াছে, কিছুদিন পরে বাড়ি যাইব, তোমরা ভাবিত হইও না।’ আবার সব আছে, কোন অভাব নাই, কিন্তু কিছুভাল লাগে না। ভগবানের জন্য একলা একলা কাঁদে। সে বৈরাগ্য যথার্থ বৈরাগ্য।

“মিথ্যা কিছুই ভাল নয়। মিথ্যা ভেক ভাল নয়। ভেকের মতো যদি মনটা না হয়, ক্রমে সর্বনাশ হয়। মিথ্যা বলতে বা করতে ক্রমে ভয় ভেঙে যায়। তার চেয়ে সাদা কাপড় ভাল। মনে আসক্তি, মাঝে মাঝে পতন হচ্ছে, আর বাহিরে গেরুয়া! বড় ভয়ঙ্কর!”

[কেশবের বাড়ি গমন ও নববৃন্দাবন-দর্শন ]

”এমনকি, যারা সৎ, অভিনয়েও তাদের মিথ্যা কথা বা কাজ ভাল নয়। কেশব সেনের ওখানে নববৃন্দাবন নাটক দেখতে গিছলাম। কি একটা আনলে ক্রস (cross); আবার জল ছড়াতে লাগল, বলে শান্তিজল। একজন দেখি মাতাল সেজে মাতলামি করছে!”

ব্রাহ্মভক্ত — কু — বাবু।

শ্রীরামকৃষ্ণ — ভক্তের পক্ষে ওরূপ সাজাও ভাল নয়। ও-সব বিষয়ে মন অনেকক্ষণ ফেলে রাখায় দোষ হয়। মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়। মিথ্যাতে অনেকক্ষণ ফেলে রাখলে মিথ্যার রঙ ধরে যাবে।

“আর-একদিন নিমাই-সন্ন্যাস, কেশবের বাড়িতে দেখতে গিছিলাম। যাত্রাটি কেশবের কতকগুলো খোশামুদে শিষ্য জুটে খারাপ করেছিল। একজন কেশবকে বললে, ‘কলির চৈতন্য হচ্ছেন আপনি!’ কেশব আমার দিকে চেয়ে হাসতে হাসতে বললে, ‘তাহলে ইনি কি হলেন?’ আমি বললুম, ‘আমি তোমাদের দাসের দাস। রেণুর রেণু।’ কেশবের লোকমান্য হবার ইচ্ছা ছিল।”

[নরেন্দ্র প্রভৃতি নিত্যসিদ্ধ — তাদের ভক্তি আজন্ম ]

(অমৃত ও ত্রৈলোক্যের প্রতি) — “নরেন্দ্র, রাখাল-টাখাল এই সব ছোকরা, এরা নিত্যসিদ্ধ, এরা জন্মে ঈশ্বরের ভক্ত। অনেকের সাধ্যসাধনা করে একটু ভক্তি হয়, এদের কিন্তু আজন্ম ঈশ্বরে ভালবাসা। যেন পাতাল ফোঁড়া শিব — বসানো শিব নয়।

“নিত্যসিদ্ধ একটি থাক আলাদা। সব পাখির ঠোঁট বাঁকা নয়। এরা কখনও সংসারে আসক্ত হয় না। যেমন প্রহ্লাদ।

“সাধারণ লোক সাধন করে, ঈশ্বরে ভক্তিও করে। আবার সংসারেও আসক্ত হয়, কামিনী-কাঞ্চনে মুগ্ধ হয়। মাছি যেমন ফুলে বসে, সন্দেশে বসে, আবার বিষ্ঠাতেও বসে। (সকলে স্তব্ধ)

“নিত্যসিদ্ধ যেমন মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে। নিত্যসিদ্ধ হরিরস পান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না।

“সাধ্য-সাধনা করে যে ভক্তি, এদের সে ভক্তি নয়। এত জপ, এত ধ্যান করতে হবে, এইরূপ পূজা করতে হবে — এ-সব ‘বিধিবাদীয়’ ভক্তি। যেমন ধান হলে মাঠ পার হতে গেলে আল দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে। আবার যেমন সম্মুখের গাঁয়ে যাবে, কিন্তু বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে।

“রাগভক্তি প্রেমাভক্তি ঈশ্বরে আত্মীয়ের ন্যায় ভালবাসা, এলে আর কোন বিধিনিয়ম থাকে না। তখন ধানকাটা মাঠ যেমন পার হওয়া। আল দিয়ে যেতে হয় না। সোজা একদিক দিয়ে গেলেই হল।

“বন্যে এলে আর বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হয় না। তখন মাঠের উপর এক বাঁশ জল! সোজা নৌকা চালিয়ে দিলেই হল।

“এই রাগভক্তি, অনুরাগ, ভালবাসা না এলে ঈশ্বরলাভ হয় না।”

[সমাধিতত্ত্ব — সবিকল্প ও নির্বিকল্প ]

অমৃত — মহাশয়! আপনার এই সমাধি অবস্থায় কি বোধ হয়?

শ্রীরামকৃষ্ণ — শুনেছ, কুমুরে পোকা চিন্তা করে আরশুলা কুমুরে পোকা হয়ে যায়, কিরকম জানো? যেমন হাঁড়ির মাছ গঙ্গায় ছেড়ে দিলে হয়।

অমৃত — একটুও কি অহং থাকে না?

শ্রীরামকৃষ্ণ — হাঁ, আমার প্রায় একটু অহং থাকে। সোনার একটু কণা, সোনার চাপে যত ঘষ না কেন, তবু একটু কণা থেকে যায়। আর যেমন বড় আগুন আর তার একটি ফিনকি। বাহ্যজ্ঞান চলে যায়, কিন্তু প্রায় তিনি একটু ‘অহং’ রেখে দেন — বিলাসের জন্য! আমি তুমি থাকলে তবে আস্বাদন হয়। কখন কখন সে আমিটুকুও তিনি পুঁছে ফেলেন। এর নাম ‘জড়সমাধি’ — নির্বিকল্পসমাধি। তখন কি অবস্থা হয় মুখে বলা যায় না। নুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল, একটু নেমেই গলে গেল। ‘তদাকারকারিত’। তখন কে আর উপরে এসে সংবাদ দেবে, সমুদ্র কত গভীর!

Previousএকাদশ পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত অমৃত, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তের সNextত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ - নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে বলরাম-মন্দিরে

Last updated 4 years ago

Was this helpful?