The Gospel of Sri Ramakrishna
EnglishBengaliHindi
Bengali
Bengali
  • শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত
  • ১ উপক্রমণিকা
    • ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সংক্ষিপ্ত চরিতামৃত
  • ২ দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - কালীবাড়ী ও উদ্যান
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - প্রথম দর্শন
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - দ্বিতীয় দর্শন
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - মাস্টারকে তিরস্কার ও তাঁহার অহঙ্কার চূর্ণকরণ
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - ভক্তির উপায়
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - তৃতীয় দর্শন
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - উপায় — বিশ্বাস
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - সমাধিমন্দিরে
    • নবম পরিচ্ছেদ - চতুর্থ দর্শন
    • দশম পরিচ্ছেদ - অন্তরঙ্গ সঙ্গে — ‘আমি কে’?
  • ৩ শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণের বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে প্রেমানন্দে নৃত্য
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ শ্যামপুকুরে — প্রাণকৃষ্ণের বাটীতে
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - কমলকুটিরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীযুক্ত কেশব সেন
  • ৪ কলিকাতায় শ্রীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের মিলন
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - বিদ্যাসাগরের বাটী
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - বিদ্যাসাগর
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — জ্ঞানযোগ বা বেদান্ত বিচার
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - জ্ঞান ও বিজ্ঞান, অদ্বৈতবাদ, বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদ — এই তিনের সমন্বয়
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - ভক্তিযোগের রহস্য
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - ঈশ্বরকে ভালবাসা জীবনের উদ্দেশ্য
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর অহেতুক কৃপাসিন্ধু
  • ৫ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে কেদারের উৎসব
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - কামিনী-কাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত — সাধনা ও যোগতত্ত্ব
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - গুরুশিষ্য-সংবাদ — গুহ্যকথা
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - পূর্বকথা — শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা — ১৮৫৮
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে — নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ ৺বিজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর — সকলই পন্থা — শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে বলরামাদি সঙ্গে — বলরামকে শিক্ষা
  • ৬ শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — ‘সমাধিমন্দিরে’
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - সমাধিমন্দিরে — আত্মা অবিনশ্বর — পওহারী বাবা
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও কর্মযোগের সমন্বয়
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - বেদ ও তন্ত্রের সমন্বয় — আদ্যাশক্তির ঐশ্বর্য
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - এ সংসার কেন?
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - ব্রাহ্মদিগকে উপদেশ — খ্রীষ্টধর্ম, ব্রাহ্মসমাজ ও পাপবাদ
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - শ্রীযুক্ত কেশব সেনের সহিত নৌকাবিহার — সর্বভূতহিতে রতাঃ
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - কেশবকে শিক্ষা — গুরুগিরি ও ব্রাহ্মসমাজে — গুরু এক সচ্চিদানন্দ
    • নবম পরিচ্ছেদ - কেশবাদি ব্রাহ্মদিগকে কর্মযোগ সম্বন্ধে উপদেশ
    • দশম পরিচ্ছেদ - সুরেন্দ্রের বাড়ি নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে
  • ৭ সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - উৎসবমন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - ভক্ত-সম্ভাষণে
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - তিন প্রকার আচার্য
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - ঈশ্বরদর্শন — সাকার না নিরাকার?
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - ঈশ্বরলাভের লক্ষণ — সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - ব্রাহ্মসমাজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণনা
  • ৮ সার্কাস রঙ্গালয়ে -- গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে প্রাণকৃষ্ণ, মাস্টার প্রভৃতি সঙ্গে
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - ভাবরাজ্য ও রূপদর্শন
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের যশোদার ভাব ও সমাধি
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রীরাধার ভাব
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - অভ্যাসযোগ — দুই পথ — বিচার ও ভক্তি
  • ১১ বেলঘরে গ্রামে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - বেলঘরে গ্রামে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গ
  • ১২ শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে রাখাল, রাম, নিত্যগোপাল, চৌধুরী প্রভৃতি ভক্ত
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে অমাবস্যায় ভক্তসঙ্গে — রাখালের প্রতি গোপালভাব
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসব
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - জন্মোৎসবে ভক্তসঙ্গে — সন্ন্যাসীদের কঠিন নিয়ম
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - সাকার-নিরাকার — ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের রামনামে সমাধি
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - কীর্তনানন্দে ও সমাধিমন্দিরে
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - গোস্বামী সঙ্গে সর্বধর্ম-সমন্বয়প্রসঙ্গে
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, নিত্যসিদ্ধ ও কৌমার বৈরাগ্য
    • নবম পরিচ্ছেদ - পঞ্চবটীমূলে কীর্তনানন্দে
    • দশম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গৃহস্থধর্ম
    • একাদশ পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত অমৃত, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তের স
    • দ্বাদশ পরিচ্ছেদ - গেরুয়াবসন ও সন্ন্যাসী — অভিনয়েও মিথ্যা ভাল নয়
    • ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ - নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে বলরাম-মন্দিরে
    • চতুর্দশ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — মণিলাল ও কাশীদর্শন
    • পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ - গৃহস্থ ও কর্মযোগ
    • ষোড়শ পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ — প্রেমতত্ত্ব
    • সপ্তদশ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি
    • অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণের ঈশ্বরাবেশ, তাঁহার মুখে ঈশ্বরের বাণী
    • ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ - অধরের প্রতি উপদেশ — সম্মুখে কাল
    • ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ - শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাপূজা উপলক্ষে ভক্তসঙ্গে সুরেন্দ্রভবনে
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে — সমাধিমন্দিরে
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও সাকার-নিরাকার
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণ হরিকীর্তনানন্দে — হরিভক্তি-প্রদায়িনী সভায় ও রামচন্দ্রের বাটীতে শ্রীরাম
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ
    • নবম পরিচ্ছেদ - কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ
    • দশম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে — শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র দত্তের বাড়ি কীর্তনানন্দ
  • ১৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে
    • প্রথম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে ফলহারিণী — পূজাদিবসে ভক্তসঙ্গে
    • দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - পূর্বকথা — শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমোন্মাদ ও রূপদর্শন
    • তৃতীয় পরিচ্ছেদ - মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে — ঠাকুর “অহেতুক কৃপাসিন্ধু”
    • চতুর্থ পরিচ্ছেদ - মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ ও নিরাকারবাদ
    • পঞ্চম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা
    • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ - হাজরার সঙ্গে কথা — গুরুশিষ্য-সংবাদ
    • সপ্তম পরিচ্ছেদ - ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — শ্রীযুক্ত রাখাল, রাম, কেদার, তারকমাস্টার
    • অষ্টম পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে মণিরামপুর ও বেলঘরের ভক্তসঙ্গে
Powered by GitBook
On this page

Was this helpful?

  1. ১২ শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ গান গাহিতে বলিলেন। রামলাল ও কালীবাড়ির একটি ব্রাহ্মণ কর্মচারী গাহিতেছেন। সঙ্গতের মধ্যে একটি বাঁয়ার ঠেকা —

(১) — হৃদি-বৃন্দাবনে বাস যদি কর কমলাপতি ৷

ওহে ভক্তিপ্রিয়, আমার ভক্তি হবে রাধাসতী ৷৷ মুক্তি কামনা আমারি, হবে বৃন্দে গোপনারী, দেহ হবে নন্দের পুরী, স্নেহ হবে মা যশোমতী ৷৷ আমার ধর ধর জনার্দন, পাপভার গোবর্ধন, কামাদি ছয় কংসচরে ধ্বংস কর সম্প্রতি ৷৷ বাজায়ে কৃপা বাঁশরি, মনধেনুকে বশ করি, তিষ্ঠ হৃদিগোষ্ঠে পুরাও ইষ্ট এই মিনতি ৷৷ আমার প্রেমরূপ যমুনাকুলে, আশাবংশীবটমূলে, স্বদাস ভেবে সদয়ভাবে, সতত কর বসতি ৷ যদি বল রাখাল-প্রেমে, বন্দী থাকি ব্রজধামে, জ্ঞানহীন রাখাল তোমার, দাস হবে হে দাশরথি ৷৷

(২) — নবনীরদবরণ কিসে গণ্য শ্যামচাঁদ রূপ হেরে,

করেতে বাঁশি অধরে হাসি, রূপে ভুবন আলো রে ৷৷ জড়িত পীতবসন, তড়িত জিনি ঝলমল, আন্দোলিত চরণাবধি হৃদিসরোজে বনমাল, নিতে যুবতী-জাতিকুল, আলো করে যমুনাকুল, নন্দকুল চন্দ্র যত চন্দ্র জিনি বিহরে ৷৷ শ্যামগুণধাম পশি, হাম হদিমন্দিরে, প্রাণ মন জ্ঞান সখি হরে নিল বাঁশির স্বরে, গঙ্গানারায়ণের যে দুঃখ সে-কথা বলিব কারে, জানতে যদি যেতে গো সখী যমুনায় জল আনিবারে ৷৷

(৩) — শ্যামাপদ-আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়তেছিল;

কলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল।

[ঈশ্বরলাভের উপায় অনুরাগ — গোপীপ্রেম — “অনুরাগ বাঘ” ]

শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি) — বাঘ যেমন কপকপ করে জানোয়ার খেয়ে ফেলে, তেমনি “অনুরাগ বাঘ” কাম ক্রোধ এই সব রিপুদের খেয়ে ফেলে। ঈশ্বরে একবার অনুরাগ হলে কামক্রোধাদি থাকে না। গোপীদের ওই অবস্থা হয়েছিল। কৃষ্ণে অনুরাগ।

“আবার আছে ‘অনুরাগ অঞ্জন’। শ্রীমতী বলছেন, ‘সখি, চতুর্দিক কৃষ্ণময় দেখছি!’ তারা বললে, ‘সখি, অনুরাগ-অঞ্জন চোখে দিয়েছ তাই ওইরূপ দেখছ।’ এরূপ আছে যে, ব্যাঙের মুণ্ডু পুড়িয়ে কাজল তৈয়ার করে, সেই কাজল চোখে দিলে চারিদিক সর্পময় দেখে!

“যারা কেবল কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে আছে — ঈশ্বরকে একবারও ভাবে না, তারা বদ্ধজীব। তাদের নিয়ে কি মহৎ কাজ হবে? যেমন কাকে ঠোকরানো আম, ঠাকুর সেবায় লাগে না, নিজের খেতেও সন্দেহ।

“বদ্ধজীব — সংসারী জীব, এরা যেমন গুটিপোকা। মনে করলে কেটে বেরিয়ে আসতে পারে; কিন্তু নিজে ঘর বানিয়েছে, ছেড়ে আসতে মায়া হয়। শেষে মৃত্যু।

“যারা মুক্তজীব, তারা কামিনী-কাঞ্চনের বশ নয়। কোন কোন গুটিপোকা অত যত্নের গুটি কেটে বেরিয়ে আসে। সে কিন্তু দু-একটা।

“মায়াতে ভুলিয়ে রাখে। দু-একজনের জ্ঞান হয়; তারা মায়ার ভেলকিতে ভোলে না; কামিনী-কাঞ্চনের বশ হয় না। আঁতুড়ঘরের ধূলহাঁড়ির খোলা যে পায়ে পরে, তার বাজিকরের ড্যাম্‌ ড্যাম্‌ শব্দের ভেলকি লাগে না। বাজিকর কি করছে সে ঠিক দেখতে পায়।

“সাধনসিদ্ধ আর কৃপাসিদ্ধ। কেউ কেউ অনেক কষ্টে ক্ষেত্রে জল ছেঁচে আনে; আনতে পারলে ফসল হয়। কারু জল ছেঁচতে হল না, বৃষ্টির জলর ভেসে গেল। কষ্ট করে জল আনতে হল না। এই মায়ার হাত থেকে এড়াতে গেলে কষ্ট করে সাধন করতে হয়। কৃপাসিদ্ধের কষ্ট করতে হয় না। সে কিন্তু দু-এক জনা।

“আর নিত্যসিদ্ধ, এদের জন্মে জন্মে জ্ঞানচৈতন্য হয়ে আছে। যেমন ফোয়ারা বুজে আছে। মিস্ত্রী এটা খুলতে ফোয়ারাটাও খুলে দিলে, আর ফরফর করে জল বেরুতে লাগল! নিত্যসিদ্ধের প্রথম অনুরাগ যখন লোকে দেখে, তখন অবাক্‌ হয়। বলে এত ভক্তি-বৈরাগ্য-প্রেম কোথায় ছিল?”

ঠাকুর অনুরাগের কথা বলিতেছেন। গোপীদের অনুরাগের কথা। আবার গান হইতে লাগিল। রামলাল গাহিতেছেন:

নাথ! তিমি সর্বস্ব আমার। প্রাণাধার সারাৎসার; নাহি তোমা বিনে কেহ ত্রিভুবনে, বলিবার আপনার ৷৷ তুমি সুখ শান্তি, সহায় সম্বল, সম্পদ ঐশ্বর্য, জ্ঞান বুদ্ধি বল, তুমি বাসগৃহ, আরামের স্থল, আত্মীয় বন্ধু পরিবার ৷৷ তুমি ইহকাল, তুমি পরিত্রাণ, তুমি পরকাল, তুমি স্বর্গধাম, তুমি শাস্ত্রবিধি গুরুকল্পতরু, অনন্ত সুখের আধার ৷৷ তুমি হে উপায়, তুমি হে উদ্দেশ্য, তুমি স্রষ্টা পাতা তুমি হে উপাস্য, দণ্ডদাতা পিতা, স্নেহময়ী মাতা, ভবার্ণবে কর্ণধার (তুমি) ৷৷

শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি) — আহা কি গান! “তুমি সর্বস্ব আমার!” গোপীরা অক্রুর আসবার পর শ্রীমতীকে বললে, রাধে! তোর সর্বস্ব ধন হরে নিতে এসেছে! এই ভালবাসা। ভগবানের জন্য এই ব্যাকুলতা।

আবার গান চলিতে লাগিল:

(১) — ধোরো না ধোরো না রথচক্র রথ কি চক্রে চলে,

যে চক্রের চক্রের চক্রী হরি যার চক্রে জগৎ চলে।

(২) — প্যারী! কার তরে আর, গাঁথ হার যতনে।

গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ গভীর সমাধিসিন্ধুমধ্যে মগ্ন হইলেন! ভক্তেরা একদৃষ্টে ঠাকুরের দিকে অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। আর সাড়াশব্দ নাই। ঠাকুর সমাধিস্থ! হাতজোড় করিয়া বসিয়া আছেন, যেমন ফটোগ্রাফে দেখা যায়। কেবল চক্ষের বাহিরের কোণ দিয়া আনন্দধারা পড়িতেছে।

[ঈশ্বরের সহিত কথা — শ্রীরামকৃষ্ণের দর্শন — কৃষ্ণ সর্বময় ]

অনেকক্ষণ পরে ঠাকুর একটু প্রকৃতস্থ হইলেন। কিন্তু সমাধির মধ্যে যাঁকে দর্শন করিতেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কি কথা কহিতেছেন। একটি-আধটি কেবল ভক্তদের কানে পৌঁছিতেছে। ঠাকুর আপনা-আপনি বলিতেছেন, “তুমিই আমি আমিই তুমি। তুমি খাও, তুমি আমি খাও!... বেশ কিন্তু কচ্ছ।

“এ কি ন্যাবা লেগেছে। চারিদিকেই তোমাকে দেখছি!

“কৃষ্ণ হে দীনবন্ধু প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ!”

প্রাণবল্লভ! গোবিন্দ! বলিতে বলিতে আবার সমাধিস্থ হইলেন। ঘর নিস্তব্ধ। ভক্তগণ মহাভাবময় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে — অতৃপ্ত-নয়নে বারবার দেখিতেছেন।

Previousষোড়শ পরিচ্ছেদ - দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ — প্রেমতত্ত্বNextঅষ্টাদশ পরিচ্ছেদ - শ্রীরামকৃষ্ণের ঈশ্বরাবেশ, তাঁহার মুখে ঈশ্বরের বাণী

Last updated 4 years ago

Was this helpful?